তন্বী আপু
নতুন এক ভাড়াটিয়া এসেছে বাসার ওপর তলায়। নাম তন্বী। বয়স ত্রিশের কাছাকাছি, বিবাহিত, কিন্তু স্বামী বিদেশে থাকে। slim-গড়ন, গায়ে সবসময় হালকা সালোয়ার কামিজ, আর চোখে একটা গভীরতা।
রাকিব, বাসার মালিকের ছেলে, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করেছে। বয়স ২৩, সবে একটু পুরুষালি চেহারা পেয়েছে। প্রথম দিন থেকেই তন্বীকে দেখেই তার বুক কাঁপে।
তন্বী খুব ভদ্রভাবে কথা বলে, কিন্তু হাসির মধ্যে এমন একটা গোপন আহ্বান থাকে, যা রাকিবকে প্রতিদিন পাগল করে তোলে। বাথরুমের জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে রাকিব দেখে, তন্বী ভেতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে, কাপড় বদলায়… ছায়া পড়ে গায়ের ওপর। আর রাকিবের কল্পনা জ্বলে ওঠে।
এক দুপুরে, বাড়িতে কেউ নেই। রাকিব ছাদে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল। হঠাৎ তন্বী দিদি এসে পেছন থেকে ডাকল—
— “এই যে সাহেব, ছাদে একা একা কী করছেন?”
রাকিব চমকে উঠে বলল, “দিদি, বসে ছিলাম এভাবেই।”
তন্বী হেসে বলল, “চা খাবে? আমি বানিয়ে আনছি।”
পাঁচ মিনিট পর দুই কাপ চা নিয়ে তন্বী ফিরে এলো। রোদ আর হাওয়া মিশে গেছে তার হালকা রঙের কামিজে। সামনের দিকে একটু ঝুঁকে পড়তেই রাকিব দেখে বুকের খানিকটা খাঁজ, যেন ইচ্ছা করেই দেখানো।
চা খেতে খেতে তন্বী বলল—
— “তোর চোখ যে খুব চঞ্চল রে… আমার দিকে তাকালেই গিলে ফেলবি মনে হয়।”
রাকিব লজ্জায় পড়ে গেল, “না না, এমন না!”
তন্বী হেসে উঠে বলল, “বাচ্চা ছেলে না তুই। আমি দেখেছি কেমন করে তুই জানালা দিয়ে তাকাস!”
রাকিব কিছু বলার আগেই তন্বী একদম কাছে এসে দাঁড়াল। চোখে চোখ রেখে বলল—
— “তোর ভয় করছে?”
রাকিব ফিসফিস করে বলল, “একটু… আবার ভালোও লাগছে।”
তন্বী হালকা হাসল, তার ঠোঁটে এক ধরনের প্রলোভন। রাকিবের মুখের কাছে মুখ নিয়ে বলল—
— “তুই আমাকে চাস, না?”
রাকিব কিছু না বলে মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল। তন্বী আস্তে তার ঠোঁটে ঠোঁট রাখল। একটা শীতল বিদ্যুৎ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ল। ধীরে ধীরে ঠোঁট, গাল, গলা হয়ে চলে গেল বুকের দিকে। তন্বীর হাত রাকিবের টি-শার্টের নিচে চলে গেল।
রাকিব তন্বীর কামিজ সরিয়ে কাঁধে চুমু খেল। তার গায়ের গন্ধ, ঘামের মৃদু সুগন্ধ রাকিবকে আরও উত্তপ্ত করে তুলল। তন্বী ফিসফিস করে বলল—
— “এই ছাদেই করবি? কেউ যদি উঠে আসে?”
— “এই সময় কেউ আসে না দিদি… আমি দেখেছি।”
তারা ছাদের এক কোণে, পানির ট্যাংকের পাশে একটা পুরনো কাঁথা পেতে বসল। তন্বী নিজের হাতেই কামিজ খুলে ফেলল, ব্লাউজ খুলে ফেলে বলল,
— “এই শরীর অনেক দিন পর পুরুষের স্পর্শ পেল রে রাকিব…”
রাকিব ধীরে ধীরে হাত রাখল তার বুকের ওপর। আলতো করে টিপে ধরতেই তন্বী চোখ বন্ধ করে বলল—
— “আরো কর… এমন করে যেন মনে হয় আমি বেঁচে আছি।”
দুজনেই তখন নিজের শরীরের ভার হারিয়ে ফেলেছে। কাপড় খুলে তারা একে অপরের ওপর ঝুঁকে পড়ল। রোদ এসে পড়েছে তাদের শরীরে, সেই উষ্ণতাও যেন জ্বালিয়ে দিচ্ছে আবেগ। রাকিব ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ল সেই নিষিদ্ধ গোপন রাজ্যে, যেখানে ছিল শুধুই অনুভব আর তীব্র তৃপ্তি।
তন্বীর মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো চাপা সুখের শব্দ—
— “আহ্ রাকিব… এতদিন পর কেউ এমন করে আদর করল… থামিস না…”
মাঝে মাঝে রাকিবের নাম ধরে ডেকে উঠছিল সে— যেন প্রেমিক, যেন একান্ত নিজের কেউ। ৩০ মিনিট পর, তারা নিঃশব্দে শুয়ে রইল।
তন্বী বলল—
— “তুই তো শুধু চোখ দিয়ে নয়, মন দিয়েও চাস আমাকে…”
রাকিব মাথা রাখল ওর বুকের ওপর।
— “আমি তোকে ছেড়ে কোথাও যাব না দিদি।”
সেই দিন থেকেই, ছাদ তাদের গোপন দেখা করার জায়গা হয়ে গেল।